ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (সোমবার) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুল শাহানা এ তথ্য জানিয়েছেন।

চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় বিমান‌টি প্রধানমন্ত্রী‌ ও তার সফর সঙ্গী‌দের নি‌য়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ কর‌বে। বিমানবন্দ‌রে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফর নি‌য়ে রোববার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের আয়ো‌জিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হানান, সরকারপ্রধা‌নের সফ‌রে দুই দে‌শের ম‌ধ্যে ২০‌টি সম‌ঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া কিছু প্রকল্প ঘোষণার কথা র‌য়ে‌ছে।

কোন কোন বিষ‌য়ে সম‌ঝোতা হ‌তে পা‌রে তা জা‌নি‌য়ে হাছান মাহমুদ ব‌লেন, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে ‘সা‌মিট অন ট্রেড, বিজ‌নেস অ্যান্ড ইন‌ভেস্ট‌মেন্ট অপরচু‌নি‌টিজ বিটুইন বাংলা‌দেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াঙ হুনিনেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জানা‌বেন।

১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপ‌স্থি‌তি‌তে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

১০ জুলাই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এছাড়া সরকারপ্রধান সফ‌রের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থটির চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন কর‌বেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে যাবে।

আগামী ১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন থে‌কে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হ‌বেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...