বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ৪ হাজার ১৭২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য। সে হিসেবে পণ্য রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত রফতানি পরিসংখ্যানের হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের চিত্র উঠে এসেছে।
অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচটি পণ্য হলো পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দেশের মোট রফতানির ৯০ শতাংশের বেশি জুড়েই ছিল এ পাঁচ পণ্য।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পোশাক রফতানি বেড়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ, কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে ২৮ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং হোম টেক্সটাইল পণ্যের রফতানি কমেছে ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ইপিবি প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি হওয়া পণ্য পোশাক খাতের। মোট রফতানির ৮৪ দশমিক ৪৯ শতাংশই তৈরি পোশাক। নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ৫২৫ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের।
নয় মাসের হিসাবে প্রবৃদ্ধির চিত্র ইতিবাচক হলেও মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে রফতানির নেতিবাচক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মার্চে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের মার্চে রফতানি হয়েছিল ৫০২ কোটি ডলারের পণ্য। সে হিসেবে মার্চে রফতানি কমেছে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, গত মাসে নিটওয়্যার রফতানির পরিমাণ ছিল ২০৮ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। মার্চে ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ১৮১ কোটি ডলারের, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। মার্চে পোশাকের মোট রফতানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।