ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

আজ রোববার (২৮ জুলাই) বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।

হেপাটাইটিস রোগটি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স’ দিনটিকে হেপাটাইটিস দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়।

২০১১ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রতিবছর ২৮ জুলাই এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

লিভারজনিত মারাত্মক রোগের ভাইরাস হেপাটাইটিস-বি। এ ভাইরাস আবিষ্কার করেন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী বারুচ স্যামুয়েল ব্লুমবার্গ। এর পর এ রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষাব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি টিকার ব্যবস্থাও শুরু করেন তিনি।

চিকিৎসাবিদ্যায় তার এ অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে ২৮ জুলাই তার জন্মদিনে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হয়।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘এখনই সময় পদক্ষেপ নেয়ার’।

বাংলাদেশে হেপাটাইটিস রোগীর সংখ্যা অনেক। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে প্রায় এক কোটি মানুষ আক্রান্ত।

বেসরকারি হিসাবে, দেশে হেপাটাইটিসে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। হেপাটাইটিস নিয়ে উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সারা বিশ্বে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে সংক্রমিত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই জানেন না যে তার শরীরে এ ভাইরাস আছে।

লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের শতকরা ৭৬ ভাগ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত।

তাই আসুন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে লিভারের মারাত্মক রোগ হেপাটাইটিস ভাইরাস সম্পর্কে জানি, অন্যকেও সচেতন করে তুলি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...