

দেশের সব সরকারি, বেসরকারি ও ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাটের ব্যাগ দেবে সরকার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কিত লিফলেট থাকবে ব্যাগের সঙ্গে। প্রাথমিকভাবে এই ব্যাগ পাবে মোট ৩৩ লাখ শিক্ষার্থী। প্রতিটি ব্যাগের জন্য সরকারের খবরচ ৭৫০ টাকা। এ খাতে মোট ব্যয় ২৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষার্থী অনুপাতে এই ব্যয় কম-বেশি হতে পারে। প্রকল্পটি সমাপ্তির পর সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে এটি চালু রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
‘প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে প্রতিটি ব্যাগের দাম ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে পাটের ব্যাগ কেনার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, প্রকল্পের প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। জুন ২০২৪ সালের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে এ পাটের ব্যাগ ও লিফলেট পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মননে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উন্মেষ ঘটানো প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
পরবর্তী বছরগুলোতেও একই কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে বলে জানা যায়। ২০২১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার চেয়ে কিছুটা বেশি হিসাব করে ৩৩ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ব্যাগ কেনা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মার্চ-২০২২ এ প্রকাশিত বার্ষিক প্রাথমিক স্কুল সেনসাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৫০ হাজার ২৫১ জন।
মন্ত্রণালয় জানায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং তাদের জাতি গঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। সব জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের কর্মকাণ্ড প্রসার, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল প্রকৃত ইতিহাস জানানো এবং দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়ে
ছে।