ইজেনারেশন বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ক শিক্ষা ও উদ্ভাবনকে প্রসারিত করতে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াডের (বিডিএআইও) সাথে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ওপেন-সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) আয়োজনে উক্ত অলিম্পিয়াডের ‘এআই ইনোভেশন পার্টনার’ হয়েছে ইজেনারেশন। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হলো, তরুণদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপার সম্ভাবনা সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলা ও চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহিত করা।
চলতি বছরের ৯ থেকে ১৫ আগস্ট বুলগেরিয়াতে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (আইওএআই) অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাধ্যমিক স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো, পরবর্তী প্রজন্মের এআই পথিকৃৎদের কাছে এআই’র বাস্তবতা তুলে ধরা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে জাগ্রত করা। এআই ইনোভেশন পার্টনার হিসেবে ইজেনারেশন এআই, এনএলপি, এমএল, ডেটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি, হেলথটেক, ফিনটেক, মর্ডান ওয়ার্কপ্লেস, ক্লাউড বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন এবং ইআরপি সল্যুউশনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসেবা দিয়ে আসছে।
ইজেনারেশন পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, ওপেনএআই এর চ্যাটজিপিটি ৪.০ এবং গুগলের জেমিনি ফ্ল্যাশ ১.৫ এর মতো প্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর উপর দক্ষতাসম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এআই প্রকল্পে বিস্তর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইজেনারেশনের। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক শিক্ষা ও উদ্ভাবনকে প্রসারিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ইজেনারেশন বাংলাদেশের তরুণদেরকে এআইতে পরবর্তী নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাংলাদেশ ওপেন-সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াডের অংশীদার হিসেবে ইজেনারেশনকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। এই অংশীদারিত্ব তরুণ মেধাবীদের উন্নয়ন এবং দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। আমরা যৌথভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের এআই নেতৃত্বকারীদের উৎসাহ দিতে এবং তাদের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ও মেকাট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. লাফিফা জামাল বলেন, এআই ও রোবটিক্সের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে এই প্রতিযোগিতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আগামী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আমরা রোবটিক্স ইন্ডাস্ট্রির অটোমেশন, কার্যকারিতা এবং রূপান্তরকারী প্রযুক্তিগত সল্যুউশনকে একইসাথে পরিচালিত করতে পারবো এবং উদ্ভাবন ও অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে পারবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও পরিচালক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এআই অলিম্পিয়াডের মতো উদ্যোগ নতুন নতুন উদ্ভাবনে তরুণদের উৎসাহিত এবং পরবর্তী এআই নেতৃত্ব তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ার সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের মেধাবী ছাত্রদেরকে এআই নেতৃত্বের জন্য যোগ্যভাবে গড়ে তুলতে পারি এবং তাদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
উল্লেখ্য, ইজেনারেশন বিভিন্ন এআই প্রকল্প যেমন বাংলা টু ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট কনভার্টার, স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার, দুবাইতে ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের জন্য এআই সল্যুউশন এবং মায়ানমারে অটোমেটিক ভেহিকল এন্ট্রির মতো অসংখ্য প্রকল্পে দারুণ সফলতা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এআই নির্ভর হসপিটাল অটোমেশন সল্যুউশন চিকিৎসাসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।