নভেম্বর ২৮, ২০২৪

গত কয়েক মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।

এরআগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার উদগ্র বাসনা চরিতার্থ করতে গত ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও কণ্টকমুক্ত করার জন্য গুম-খুন-গায়েবি মামলা, হুলিয়া, গ্রেপ্তার-হয়রানি, নিপীড়ন, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘর ভাঙচুরের যে ভয়াবহতা চলছিল, তা এখনও অব্যাহত রেখেছে একনায়ক ডামি সরকার। অরাজকতা, নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলার বৃত্তে জনমানুষকে বন্দি করা হয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, দেশের কারাগারগুলো ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা। কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা গেস্টাপোদের ন্যায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। ছাত্রলীগের সাবেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের কারা কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে শেখ হাসিনা কারাগারেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাতে লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন। কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের কারও না কারও মৃত্যুর সংবাদ আসছে প্রায়ই। গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতন করে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে কারা হেফাজতে। প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...