বিএনপির কর্মসূচি জনগণ মানছে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ বিএনপিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে। এরপরও লজ্জা হয় না ওদের।’
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, সেটি আমরা বলতে পারি না। যেভাবে ২০১৩-’১৪-’১৫ সালে জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে, সেভাবে জ্বালা-পোড়াও করা হচ্ছে এখনও। এতে দেশের স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়। ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ও সবকিছুতে না বলার মানসিকতা দেশের উন্নয়নের অন্তরায়।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, বিএনপি ভোটে এলে ভোট গ্রহণের তারিখ ঠিক রেখে পুনঃতফসিল দেয়া হবে; কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে – এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তারিখ সরকার ফেলে দেয়া হবে – এরকম তো বহু ঘোষণা শুনেছি। যতবার তারা ঘোষণা দেয়, তারা পালিয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। এসব ঘোষণা আসলে তাদেরকে হাস্যস্কর করে তুলেছে। তারা এসব ঘোষণা দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিএনপি এখন প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। তাদের নেতারাও সন্ত্রাসী নেতায় পরিণত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন-তারিখ বলে ফেলে দেয়ার হুমকি – এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি, তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক, কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না – তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তাদের থলে থেকে তো আস্তে আস্তে সবাই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, তারা যাতে বের না হয় সেটার জন্য একটু সচেষ্ট হবেন।’