বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি একটা দল দিন-রাত প্রধানমন্ত্রীকে বিষোদগার করে। আর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সম্মান করে। এরা কী দেখে না? তার সঙ্গে তো বহু প্রধানমন্ত্রী জি-২০ সম্মেলনে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজেই সেলফি তুলেছেন । জি-২০ তেও তুলে, নিউ ইয়র্কেও তুলে। এটা নিজে থেকেই তুলে। অন্য কারও সঙ্গে তো তুলে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে ভার্চুয়ালি এসব সেতু উদ্বোধন করবেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিশ্বের অনেকেই তাদের দল সামলাতে পারছে না। চারদিকে আগুন। এসব ছেড়ে বাংলাদেশে এসে ফখরুল সাহেবকে উৎসাহ দেবে কে? ফখরুল তো প্রতিদিনই ভাষণ দিতে গিয়ে মিথ্যাচার করেন।’
পৃথিবীতে সব সরকারেরই পতন হয়, এরশাদ সরকারেরও পতন হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ৬৯ এ আমাদের এখানেও পতন হয়েছে। এরশাদ সরকারেরও পতন হয়েছে। বিরোধী দলেরও তো পতন হয়। তাদের (বিএনপির) কত আন্দোলনই তো ফেল করল। আমাদের দেশের বিরোধী দল এখন ভুল পথে আছে। আমি ফখরুল সাহেবকে বারবার বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহু আগেই আজিমপুর করবস্থানে গেছে। ওইখানে ঘুমিয়ে আছে। তাকে জাগাবে কে? ওই দাবি আর তুইলেন না। মৃত জিনিস কী আর কখনও ওঠে আসে? শেখ হাসিনা কেন পদত্যাগ করবেন?
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের দেখা পান তখন কি পদ্মা সেতু ভাঙবেন? মেট্রোরেল ভাঙবেন, সড়ক-মহাসড়ক ভেঙে দেবেন? পারমাণবিক চুল্লি কি ভেঙে দেবেন? এ জন্যই বলেছি, ইউরেনিয়াম ফখরুল সাহেবের মাথায় ঢেলে দেব।’
তিনি বলেন, ‘যদি এ দেশকে ভালোবাসেন তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এই দেশে সবুজের মাঝে লাল সূর্য ঠিক রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। সাম্প্রাদায়িকতা আর জঙ্গিবাদ আমাদের লাগবে না। এদের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাহলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।’