বাজারে হঠাৎ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। ৫ লিটারের বোতল মিলছে না দোকানগুলোতে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে চাহিদা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না তারা। খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেল সরবরাহ করছে না বলে অভিযোগ তাদের। ফরে ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে। এদিকে, বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে। শীতের শাক-সবজির দাম এখনও নাগালের বাইরে।
কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ হঠাৎ পণ্যের সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়া দেশে নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন নতুন করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যাও পাওয়া যায় তাতেও অনেক দোকানদার দাম বেশি নিচ্ছে।
এদিকে, আমদানি কমের অজুহাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে এলাচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও চড়া। বর্তমানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৬০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনায় আমদানি কমেছে ভারত থেকে। এতে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও এলাচসহ অন্যান্য মসলার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমদানি বাড়বে। তখন আবার দাম কমতে শুরু করবে।
তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি, গরু-খাসি ও ডিমের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
এদিকে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
আর বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৪৪-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০-২৫০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জনগণের প্রত্যাশা ছিল বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে সে আশা নিরাশায় পরিণত করে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বাড়তি। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর উদ্যোগের দাবি ক্রেতাদের।