সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে দখলদার ইসরাইলি ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরাইল এর জবাব দিলে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। তবে ইরানের নজিরবিহীন এ হামলার ফলে উভয় দেশের যুদ্ধে জড়ানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল মনে করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন না যে দখলদার ইসরাইলের ওপর ইরানের চালানো হামলা একটা পুরোদস্তুর যুদ্ধে গড়ানোর কোনো কারণ আছে।
এবিসি-র ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই সংঘাত আগামীতে আরও তীব্র আকার নেবে, সেই সম্ভাবনা কতটা?
জবাবে কার্বি বলেন, যাই ঘটুক না কেন, প্রেসিডেন্ট আদৌ মনে করেন না বিষয়টা সেই দিকে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টির ‘কূটনৈতিক দিকটি’ নিয়ে কাজ করছেন এবং সেই লক্ষ্যেই আজ দিনের আরও পরের দিকে জি-সেভেন জোটের একটি বৈঠকও ডেকেছেন।
ইসরাইল যেভাবে এ হামলাকে প্রতিহত করেছে, তাদের সেই ‘আত্মরক্ষার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা’রও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
ইরানের চালানো হামলায় ক্ষয়ক্ষতি অতি সামান্য হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জন কার্বি আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের অবস্থান এ ব্যাপারে খুব স্পষ্ট। তিনি চান না এই সংঘাত আরও তীব্র আকার নিক। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনে আমাদের কাছে আরও অনেক কিছু স্পষ্ট হবে।
সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ১১ জন নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় তেহরান। সেই ঘোষণার সূত্র ধরে গতকাল শনিবার রাতে ‘অপারেশন ট্রুথফুল প্রমিজের’ আওতায় ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা সেই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান।
ইরান বলেছে, দামেস্কে তাদের কনস্যুলেটে হামলার জবাব দিয়েছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং তা সীমিত আকারে। হামলায় ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুড ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে।