

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, সম্পূর্ণরূপে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে এই ভিসা নীতি প্রণয়ণ করা হয়েছে।
বুধবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে জানান, নতুন ভিসা নীতির আওতায় কোনো বাংলাদেশি যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় – তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। পরবর্তীতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, এর আওতায় পড়বেন বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরা।
৯ জুলাই ভারত সফর শুরু করেন উজরা জেয়া। দিল্লি সফর শেষ করে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সফরে আসেন তিনি। এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে একটি সাক্ষাৎকার দেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে উজরা জেয়া বলেন, ‘আমি আপনাকে সেই সরকারি ঘোষণার উল্লেখ করব যা, আমাদের বিভাগের মুখপাত্র একটি নতুন ভিসা অনুমোদনের বিষয়ে করেছেন, যেটি সম্পূর্ণরূপে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে। আমরা মনে করি, এটি গণতন্ত্রের জন্য জটিল, কিন্তু গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য এটি অপরিহার্য।’
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে মানবিক সহযোগিতা, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতো অনেকগুলি বিষয় নিয়ে জোরদার আলোচনার অপেক্ষায় আছি এবং আমি মনে করি একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া আমাদের প্রত্যাশা।’
তিনি জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনের জন্য শ্রম অধিকার এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।