বাজারে পরিচ্ছন্ন নোট প্রচলন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা অনুমোদিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ এর ৭এ (ই) এবং ২৩ (১) ধারা মোতাবেক নোট ইস্যু করার একক দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। দায়িত্ব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট নোট মুদ্রণ, সংরক্ষণ, পরিবহণ, প্রচলন, যাচাই-বাছাই, বাতিলকরণ এবং বাতিলকৃত নোট ধ্বংসকরণ ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ এর ধারা ২৩(১) মোতাবেক বাজারে পরিচ্ছন্ন নোটের প্রচলন বা যোগান স্বাভাবিক রাখার নিমিত্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক প্রতি বছর নির্ধারিত সংখ্যক নোট মুদ্রণ ও সরবরাহের লক্ষ্যে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডকে (এসপিসিবিএল) কার্যাদেশ দিয়ে থাকে।
অপরদিকে, বাজারের ছেড়া-ফাটা এবং অপ্রচলনযোগ্য নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হয়। এসব নোট পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা হয়। তাছাড়া, তফসিলি ব্যাংক হতে গৃহীত পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটগুলো ম্যানুয়াল বা অটোমেটেড পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাইপূর্বক পুনরায় বাজারে প্রচলনে দেওয়া হয়। এইভাবে নোটের জীবনচক্র চলমান থাকে।
বাজারে পরিচ্ছন্ন নোট প্রচলন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে নীতি ও পদ্ধতি প্রণয়ন করে থাকে। এই নীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী প্রচলনে থাকা পুরাতন, ধ্বংসযোগ্য এবং অযোগ্য নোট যথাযথ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা হয়। এছাড়া নতুন নোটের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপরেও বাজারে অপ্রচলনযোগ্য ও ত্রুটিপূর্ণ নোট হিসেবে অধিক ময়লাযুক্ত, ছেঁড়া-ফাটা, আগুনে ঝলসানো, ড্যাম্প, মরিচাযুক্ত, অধিক কালিযুক্ত, অধিক লেখা-লেখি, স্বাক্ষরযুক্ত ও বিভিন্ন খণ্ডে খন্ডিত নোটের আধিক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই প্রচলনে থাকা ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা, গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং নোটের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে নোটগুলো বাজার থেকে দ্রুত প্রত্যাহার এবং ধ্বংস করে নতুন নোট প্রতিস্থাপন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।