

আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবারের ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৫টি দেশ। নির্বাচিত হয়েছে ২০টি এবং বাংলাদেশ হয়েছে ১৬তম।
লন্ডনে শুক্রবার আইএমও সদরদপ্তরে ১৬৮টি ভোটের মধ্যে ১২৮টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
আইএমও কনভেনশনের ১৬ ও ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য পদে গোপন ব্যালটে ভোট হয়। এই ভোটের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন ক্যাটাগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির দেশের সংখ্যা ১০টি; আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা দিতে আগ্রহী দেশগুলো এই ক্যাটাগরির সদস্য দেশ। ‘বি’ ক্যাটাগরিতেও দেশের সংখ্যা ১০টি; এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে আগ্রহী।
‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত নয়, কিন্তু সামুদ্রিক পরিবহণে বিশেষ আগ্রহী এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে।
১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত ‘আইএমও’ জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং সামুদ্রিক ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া ‘আইএমও’ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকেও সহায়তা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশের আইএমও’র ‘ফোকাল পয়েন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।