ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

চতুর্থ দিনের খেলার তখন কেবল ৯ বল বাকি। এমন সময় বল পরিবর্তন করেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন ও কুমার ধর্মসেনা। খানিকটা চকচকে বল দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ওভালে হারের পর তাই বল পরিবর্তনের তদন্ত চেয়েছেন রিকি পন্টিং।

ঘটনাটি ঘটে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ৩৭তম ওভারে। মার্ক উডের বাউন্সার গিয়ে সরাসরি আঘাত হানে উসমান খাওয়াজার হেলমেটের ঠিক পেছনের অংশে। যার ফলে বল খানিকটা বিকৃত হয়ে যায়। যে কারণে বাধ্য হয়ে বলটি পরিবর্তন করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার।

বল বিকৃত হয়ে গেলে সেটা পরিবর্তনে খুব বেশি বাঁধা নেই তবে বিপত্তি ঘটেছে আম্পায়ারদের কাণ্ডে। পুরাতন বল পরিবর্তন করে তুলনামূলক চকচকে বল উডের হাতে তুলে দেন আম্পায়াররা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবিও উঠে আসায় যেখানে পার্থক্য অনেকটাই স্পষ্ট। বল খানিকটা নতুন হয় বাড়তি সুইং আর সিম মুভমেন্ট পায় ইংলিশ পেসাররা।

চতুর্থদিন খুব বেশি সমস্যা না হলেও পঞ্চম দিনে এসে যার খেসারত দিতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। শেষদিনে মাত্র ২৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৩৮৪ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৯ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত হারে ৪৯ রানে। এরপরই মূলত বলের অবস্থার অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে পন্টিং বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো প্রতিস্থাপনের জন্য বেছে নেয়া বলের অবস্থার মাঝে অসঙ্গতি। পৃথিবীতে এমন কোন উপায় নেই যে, আপনি দুটি বলের দিকে তাকিয়ে বলবেন বল দুটি তুলনাযোগ্য। এটি ম্যাচের জন্য বড় একটি মুহূর্ত। সম্ভবত টেস্ট ম্যাচের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। আমার মনে হয় এটার তদন্ত করা উচিত। আমি বলতে চাই আমার কোন সন্দেহ নেই যে সকালে যা হয়েছে ওই বলে (পুরাতন) এতটা হতো না।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...