মেয়ে পৃথিবীর আলো দেখার পর পুরোপুরি পাল্টে গেছে বলিউড কুইন খ্যাত অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের। ঐশ্বরিয়ার কাছে এখন একমাত্র ধ্যান জ্ঞান হল তার সন্তান। আর তাই গোটা দুনিয়ার যাবতীয় সব কিছুকেই স্রেফ সেকেন্ডারি বলে উড়িয়ে দিলেন তিনি।
মা হিসেবে কতটা দায়িত্ব পালন করেন বচ্চন পুত্রবধূ? মেয়ে আরাধ্যাকে কীভাবেই বা বড় করছেন অভিষেকপত্নী? এবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই তা স্পষ্ট করলেন।
২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার কোল আলো করে আসে আরাধ্যা। মেয়ের জন্মের পর থেকেই শোবিজ দুনিয়া থেকে অনেকটাই সরে যান বচ্চন পুত্রবধূ। বর্তমানে কেমনভাবে মাতৃত্বকে উপভোগ করছেন, তা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এটা এমন কিছু যা নিয়ে আমি বড় হয়েছি। ১৮ বছর বয়স থেকে অনেক দায়িত্বপালন করতে হয়েছে। তবে মেয়ের জন্মের পর ব্যাপারটা পুরোপুরি বদলে গেছে।
ঐশ্বরিয়ার দাবি, আরাধ্যার জন্য এখন আর সকালে ঘুমিয়ে থাকার জো নেই তার। ভোর সাড়ে পাঁচটাতেই বিছানা ছাড়তে হয় তাকে। আরাধ্যা আসার পর থেকে কাকে কতটা গুরুত্ব দেব, তাতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ও প্রথম, বাকি সব কিছুই আমার কাছে সেকেন্ডারি হয়ে গেছে।
তবে স্টার কিড হিসেবে যাতে আরাধ্যা বড় না হয়, জীবনের মূল্যবোধগুলো যেন সঠিকভাবে শিখতে পারে– সেদিকে কড়া নজর রেখেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। সাক্ষাৎকারে বচ্চনবধূ জানিয়েছেন, আমরা ওকে আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিকভাবে বড় করার চেষ্টা করছি। বাড়িতে থাকলে আরাধ্যা টানা গান গায়। কিংবা নাচে। সেগুলো কখনও কখনও আমার লিপে থাকা গান। বা ওর বাবা বা দাদুর।