নভেম্বর ২৭, ২০২৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ‘মিলিটারি ডিক্টেটর’ জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ এবং ৫টি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর যেই মিলিটারি ডিক্টেটর, যে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন, সেই জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান তাদের ভিসাও দেয়নি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে আত্মমর্যাদাশীল করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল সেই সময়ের সরকার। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশকে আবারও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি যে লাভবান হয়েছিলেন তিনি মিলিটারি ডিকটেটর জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টও রিনিউ করতে দেননি। এমনকি লন্ডনে যখন জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবিতে ১৯৮০ সালে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল; সেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা এদেশে আসতে চেয়েছিলেন; তাদের আসতে দেয়া হয়নি। জিয়াউর রহমান তাদের ভিসা দেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে আমি শুধু দেশে ফিরে আসি একটি লক্ষ্য সামনে রেখে, সেটি হলো এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। মৃত্যুকে সামনে থেকেও দেখেছি। কিন্তু ভয় পাইনি। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমি আমার বাবাকে দেখেছি। তার সঙ্গে দেখা হতো আমার কারাগারে। কলেজে থাকতেও বাবাকে কারাগারে গিয়ে দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেও তাকে কারাগারে গিয়ে দেখতাম। এক টানা দুই বছর তিনি কখনও কারাগারের বাহিরে ছিলেন না।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি প্রকল্প-কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন ও জিইএমএস সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...