শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও নীতি ও আদর্শের সঙ্গে আপস করেননি।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর তিনি দেশ গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করেন। তিনি মানুষের মনের ভাষা বুঝতেন। তাই তিনি জাতির পিতা হতে পেরেছেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকার রাজনীতি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও সব সময় গণমানুষের রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের দুঃসময়, দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকেছে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট ও দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মানবকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদেশ ও জাতির কল্যাণে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশকে শিল্প সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশপ্রেম জাগ্রত করে কাজ করে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।