বনানীর সেতু ভবনে হামলা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। একই মামলায় মীর মোহাম্মদ নাজমুছ ছাকিব ও তাওহীদ ইবনুর বদর সাফওয়ান নামে দুই আসামির চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে পার্থকে আদালতে হাজির করে ফের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া। আর নাজমুছ ছাকিব ও তাওহীদ ইবনুরের প্রথমবার রিমান্ড চান তদন্তকারী কর্মকর্তা। এদিকে আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। এর বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পার্থের তিন দিন এবং নাজমুছ ছাকিব ও তাওহীদ ইবনুরের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কাজ করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা ভবনে হামলা, ভাঙচুর করে। সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, সাতটি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ২৪ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আন্দালিভ রহমান পার্থকে আটক করা হয়।