আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। এ নিয়ে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর নবম দফায় অবরোধের ডাক দিল দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রোববার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। সব সমমনা দল ও জোটের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করবেন। আমাদের আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হামলা মামলা ও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে বলে জানান রিজভী। তবুও নেতাকর্মীরা দৃঢ়তার সঙ্গে রাজপথে থেকে সর্বাত্মকভাবে কর্মসূচি সফল করছেন। এজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অষ্টম দফায় দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ চলে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে মঙ্গলবার, শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি করে যাচ্ছে দলটি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ২২৩টি অগ্নিসংযোগের ঘ্টনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১৩২টি বাসে, ৩৫টি ট্রাকে, ১৬টি কাভার্ডভ্যানে, ৮টি মোটরসাইকেলে, দুটি প্রাইভেটকারে, তিনটি করে মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজি, ট্রেন ও লেগুনায় এবং একটি করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, নছিমন ও অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া একই সময়ে ১১টি স্থাপনায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ অফিস, পুলিশ বক্স, কাউন্সিলর অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম।