

শান্তি প্রতিষ্ঠার আশায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে নরওয়ে স্বীকৃতি দেবে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার। নরওয়ের মতো ইউরোপের অপর দুই দেশ আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত অপর দুই রাষ্ট্র স্লোভেনিয়া, মাল্টাও সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যাবশ্যক দুই রাষ্ট্র সমাধান।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার মধ্যে আমাদের একটি বিষয়কে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখতে হবে, যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ ঘর দিতে পারে: দুটি রাষ্ট্র, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।’
নরওয়ের ঘোষণার আগে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৩টি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। সুইডেন এক দশক আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্স এ ধরনের পরিকল্পনা করছে না। দেশটির ভাষ্য, স্বীকৃতি শান্তির পথে কার্যকর হাতিয়ার হওয়ার আগে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে না তারা।