সিন্ডিকেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়নি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কী বুঝে সিন্ডিকেট ইস্যুতে বলেছেন তা তিনি জানেন না। আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএস-বাংলা বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সিন্ডিকেট নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরবেন এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই কথা তো আর আমি বলিনি, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে আমি কী বলবো, উনি কী মিন করে বলেছেন সেটা আমি কী করে বলবো। সেসময় কী সিচুয়েশনে এ কথা বলেছেন।
বাজারে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙা হবে, এমন ধরনের কথা কখনো না বলার কথা উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি বলেছি, মাঝে মধ্যে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? ভোক্তা অধিকারসহ নানা সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু জনবল কম। এটি নিয়ে নানা সময়ে কথা হয়েছে।’
আপনি বলেছিলেন যে, যখন ক্রাইসিস শুরু হয় তখন ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আরও বেশি ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে। সে কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় সংসদেও আপনি এটি বলেছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যে কথাটা বলেছিলাম, জেল-জুলুম এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে পরে…। আমি সেটেল করছি আলোচনার মাধ্যমে। যেটা লজিকাল হয়। হঠাৎ করে জেল-জুলুম দিলে পরে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আমি এটাই বলেছিলাম। তবে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের একটি বিশাল অর্থ বিশাল ব্যাপার। আজ দেখেন সিন্ডিকেটের অল্প কিছু, ডিম নিয়ে দেখেন গ্রামে গ্রামে লাখ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। সেখানে সিন্ডিকেটের কথা বলব কেমন করে। একজন দুজন তো ডিমের ব্যবসা করছে না। এই যে বিশাল জায়গায় দাম বাড়াচ্ছে তারা। সেটা তো বুঝতে পারি। সব জায়গায় তো সিন্ডিকেটের কথা বলতে পারি না। কিন্তু সুযোগ যে তারা নেয় না তা বলি না। আমরাও চেষ্টা করি যে দামটা হওয়া উচিত, সেটার কথা চিন্তা করি।
ওই সাংবাদিক বলেন, মন্ত্রীরাও সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করেন; কিন্তু তারা তাদের প্রতিরোধ করতে পারেন না। বলেন, ওইখানে হাত দেয়া যাবে না, বিপদ আছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, কোন মন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। তখন জানানো হয়, খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন, তাদের ওইখানে হাত দেয়া যাবে না।’
তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক আছে, বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমি ধরতেছি।’