ভারতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি অনেক অর্থ বহন করে। ছবি অনেক কথা বলে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেতাকর্মীদের মন চাঙা রাখতে একেক সময় একেক বক্তব্য দিচ্ছেন। বিএনপির এক দফা কখনো আদায় হবে না। বহির্বিশ্ব আমাদের সরকারের সঙ্গে আছে। সাম্প্রতিক ঘটনা এটাই প্রমাণ করে।
সেলফি রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাইডলাইনে বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এবং ছবি তো অনেক কথা বলে। ছবি নিয়ে তো অনেক গবেষণাও হয় । আপনারা ছবি তোলেন সেই ছবি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, ছবি অনেক কথা বলে। গতকালের ছবির ভাষা সাংবাদিক হিসেবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জি-২০ এর সদস্য নয়। জি-২০ এর সদস্য না হলেও জি-২০ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সফল ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, সেটির বিস্তারিত তারা ফিরে আসলে জানতে পারবেন।
ডিএজি এমরান আহম্মদ ভূইঞা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি সপরিবারে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিলেন সে দেশের ভিসা পেতে। ভিসার আশ্বাস না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। এমরান আহম্মদের মতো এই মতাদর্শের লোক সরকারি চাকরিতে থাকার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, সরকার দল দেখে চাকরি দেয়নি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি সব দলের মানুষই সরকারি চাকরি পেয়েছে এবং এখনও আছে।