নভেম্বর ১৫, ২০২৪

দীর্ঘ চার বছর পর আজ শনিবার (১১ মার্চ) ময়মনসিংহ আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন জনসভাস্থল সার্কিট হাউস মাঠ থেকে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর মধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান।

উদ্বোধন হতে যাওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন জায়গায় ছবির ভিত্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ময়মনসিংহ সদরের চর সিরতায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ মেমোরিয়াল ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ৩২টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প, ২১টি বিদ্যালয় ও কলেজের চারতলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ময়মনসিংহ জেলায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় গোরবাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জেলা আইনজীবী সমিতির মূলভবন, শহীদ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের নবনির্মিত চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবনের উদ্বোধন।

উদ্বোধনযোগ্য ৭৩টি প্রকল্পের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩১টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২১টি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন চারটি, গণপূর্ত অধিদপ্তর তিনটি, জেলা পরিষদ ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলা দুইটি করে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতি একটি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যেসব নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ, শেখ রেহানা হল নির্মাণ, রোজী জামাল হল নির্মাণ, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ৫ তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ, শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ, ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।

৩০ প্রকল্পের মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ১৩টি, গণপূর্ত অধিদপ্তর পাঁচটি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি করে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর দুইটি এবং জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একটি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ এসেছিলেন শেখ হাসিনা। চার বছরের বেশি সময় পর বঙ্গবন্ধুকন্যার আগমন উপলক্ষ্যে গোটা ময়মনসিংহ বিভাগে এখন সাজ সাজ রব। নগরীর প্রতিটি সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়নের ফিরিস্তি। ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বরণ করতে অপেক্ষা করছেন সবাই।

জনসভাস্থল সার্কিট হাউস মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল নৌকা আকৃতির মঞ্চ। রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মাঠ। বাঁশের ব্যারিকেড, আর্চওয়ে দিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে মাঠে। ইতোমধ্যে জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...