ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেট (পুঁজিবাজার) বিষয়ক মানিলন্ডারিং ব্যাপারটিকে ভালভাবে জানতে হবে। এ বিষয়ে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। এখানে কোনও ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসসি) এর উদ্যোগে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ (এএমএল অ্যান্ড সিএফটি) বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. রুমানা ইসলাম বলেন, একজন এন্টি মানি লন্ডারিং বিভাগের প্রধান (কেমেলকো) হিসেবে ক্যাপিটাল মার্কেট মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়গুলো ভালোভাবে জানবেন এবং যেকোনও ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সাথে সাথে বিএসইসিকে রিপোর্ট করবেন। অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন আমাদের রয়েছে, তবে দুটো মূল আইন– বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী পুঁজিবাজারের অপরাধগুলো হলো- মার্কেট ম্যানিপুলেশন এবং ইনসাইডার ট্রেডিং। এই ‍দুটি মূল অপরাধ ছাড়াও অনেক ছোট বড় অপরাধ রয়েছে।

তিনি বলেন, যেকোনো সন্দেহমূলক লেনদেন কিন্তু মানিলন্ডারিং নয়। মানিলন্ডারিং এর যে সংজ্ঞা আছে সে অনুযায়ী যদি কোনও অপরাধ বা লেনদেন সংঘটিত হয় তখনই তাকে মানিলন্ডারিং আইনে আওতাভুক্ত করা যাবে। এমন কোনও লেনদেন যা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে, হতে পারে একটি বড় সংখ্যার শেয়ার হঠাৎ করে অস্বাভাবিক মূল্যে হাত বদল হচ্ছে বা কয়েকজনের মধ্যে নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে বা কোনও স্বচ্ছ উৎসবিহীন লেনদেন হচ্ছে। তবে দ্রুত সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। এছাড়াও যখন কোনও নতুন ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করবেন তখনও আপনারা সর্তক থাকবেন।

সিএসই’র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম ফারুক উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, মানিলন্ডারিং প্রায়ই শুধুমাত্র ব্যাংকের সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়; কিন্তু বাস্তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারীসহ ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানে অর্থের লেনদেনের প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট এই সংবেদনশীল মানিলন্ডারিং কার্যক্রম। শেয়াবাজারের মাধ্যমে অর্থপাচার আর্থিক অপরাধীদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, শেয়াবাজার সবসময়ই পাচারকারীদের টার্গেটে থাকে, এ কারণেই পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের সবসময়ই ভাল ব্যবসানীতি অনুশীলন করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রথমইে যে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত সেটি হলো, কেওয়াইসি বা আপনার ক্লায়েন্টকে জানুন। একটি ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা একটি কার্যকরী পদ্ধতি। যার দ্বারা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের কর্মকর্তা চিনতে সক্ষম হবেন যে অর্থপাচারে কারা জড়িত।

সিএসই’র এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট সব স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসি’র এক্সিকিউটিভ ‍ডিরেক্টর মীর মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সিএসই’র পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক, চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। এছাড়াও সিএসই’র বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...