নভেম্বর ১৪, ২০২৪

১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তদন্তে অনেক কিছুই বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু তার আলোকে কিছুই করা হয়নি। কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। বরং সেসব ‘দরবেশ, পীররা’ দাঁড়ি কামানোর আগ পর্যন্ত পুঁজিবাজার চালিয়েছেন। এখন পুঁজিবাজারে সেইসব দরবেশ পীররা নেই। কিন্তু তাদের মুরিদরা রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির সদস্য ইয়াওয়ার সাঈদ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির সমন্বিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইয়াওয়ার সাইদ বলেন, ১৯৯৯ সালের ২৯ আগস্ট প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ২৫ বছর পার হয়ে গেলেও শেয়ারবাজার ২৫ কদমও এগোয়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঋণাত্মক হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে যেসব অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে শেয়ারবাজারে, সেগুলো সাংবাদিকরা রিপোর্ট করেছেন। এখন ওইসব রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করব। আমরা এখন আছি, এখানে কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই। এখন কোনও এমপি বা মন্ত্রী আমাদের বলবে না ওর নামে রিপোর্ট করো না। আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করব। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ হবো। মানুষ যেন আমরা মরে গেলেও বলে যে, মার্কেটের জন্য কিছু লোক কাজ করে গেছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন কোন জায়গায় অনিয়ম দুর্নীতিগুলো হয়েছিল, সেগুলো আমরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে বের করব।

তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতা একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের যে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।

তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জিসান হায়দার বলেন, শেয়ারবাজারের যেসব দুর্নীতি ও কারসাজি হয়েছে, সেগুলোর যেসব ক্রিমিনাল অফেন্স আছে, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সামনে যে সময়টা এসেছে, এটা বারবার আসে না। আমরা প্রতিশ্রুতি করছি আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...