পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য পরিচালনা ও উন্নয়ন খাতে ১১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কম।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেটে পরিচালনা খাতে দুই হাজার ৫০৭ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে আট হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ প্রকল্প (কম্পোনেন্ট-১, বাপাউবো অংশ); ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে উড়িরচর-নোয়াখালী ক্রস ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প; ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (সিএসএডব্লিউএমপি) (বিডব্লিউবি পার্ট); সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নম্বর- ১৫ পুনর্বাসন প্রকল্প; ফ্লাড রিকন্সট্রাকশন ইমারজেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট; লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদের পণ্ডিতের হাট এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যয় হবে বলে জানান।
এছাড়া তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প; পাবনা জেলার ইছামতি নদী পুনঃরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প; চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প; বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩ এর কার্যকর প্রয়োগে বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের ১০টি জেলায় পানি সম্পদের প্রাপ্যতা এবং ভূগর্ভস্থ পানিধারক স্তরের নিরাপদ আহরণ সীমা নিরূপণ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন; আড়িয়াল বিল এলাকার জীবনযাত্রার মান এবং পানি ও ভূমি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা সমীক্ষা শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন; এবং কম্প্রিহেন্সিভ স্টাডি ফর এভালুয়েশন অ্যান্ড আপডেটিং অব হাওর মাস্টার প্ল্যান শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নেও বাজেট রাখার প্রস্তাব করেন।