বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে চলমান সংস্কার কার্যক্রম কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রযুক্তিগত ও নীতিগত সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স লি জুনহুয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর প্রকাশিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাচারকৃত সম্পদ ফেরানো বাংলাদেশের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। কর ফাঁকি ও অবৈধ আর্থিক প্রবাহ ঠেকাতে জাতিসংঘের সক্রিয় সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়া, “জুলাই-আগস্ট বিপ্লব” অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে জাতিসংঘের ভূমিকার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় এবং পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে, জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল লি জুনহুয়া বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সমর্থনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করার মাধ্যমে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। এছাড়া, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন লি জুনহুয়া।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে স্পেনে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উদ্ভাবনী অর্থায়ন, টেকসই ঋণ ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।