নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আওয়ামী লীগ আমলে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সহায়তা নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এফবিআই লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট ক্যামেরুন ও সুপারভাইজার স্পেশাল এজেন্টের সমন্বিত একটি টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন তথ্য জানান।

দুদক সচিব বলেন, এফবিআই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। দুদক কীভাবে কাজ করে, এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে তারা।

বৈঠকের আগে দেশ থেকে পাচার হওয়া প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে দুদকের পক্ষ থেকে এফবিআইয়ের সহায়তা চাওয়া হতে পারে বলে কথা শোনা যায়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব খোরশেদা বলেন, যদি কখনো তাদের (এফবিআই) সহায়তা প্রয়োজন হয়, তবে তারা সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অর্থ ফিরিয়ে আনতে এফবিআইয়ের সহায়তা প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা নেয়া হবে।

এদিকে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করার কথা জানিয়েছিলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতি কী হবে, কারা থাকবে, এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে।

সূত্রের তথ্যমতে, বিশেষ এ টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকছেন।

তবে এ বিষয়ে আজ দুদক সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত দুদককে কিছু জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাচারকারীদের ধরতে এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে দুদক। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ২০০ ভিআইপি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি। এরমধ্যে রয়েছেন তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপি, ব্যবসায়ী, পুলিশ ও আমলাদের শীর্ষ পর্যা‌য়ের কর্মকর্তারা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...