পহেলা বৈশাখ থেকে জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। আজ রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল—এসব থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের দাম এবং মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ—মিলার পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে এবং খুচরা পর্যায়ে—একটা রূপরেখা তৈরি হয়েছে। খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে আপনাদের জানিয়ে দেবে। পহেলা বৈশাখ থেকে সেটা কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায়, বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি, আগামী ঈদ পর্যন্ত এটা অব্যাহত রাখতে পারবো। কিছু প্রতিকূলতা আমাদের আছে, যেটা সম্পর্কে আপনারা অবহিত আছেন। পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ, এটি নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন সংস্থা এটি নিয়ে সক্রিয় আছি। আগামী বাজেটের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি, সেটা নিয়ে একটি পরিকল্পনা থাকলে সুবিধা হয়।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার প্রস্তুতি নিয়ে আজ কথা হয়েছে। ভোজ্য তেল, চিনি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নিয়েছেন। সবাই নিজেদের মতামত দিয়েছেন।
বাজার নিয়ন্ত্রণে নিজের সফলতা তুলে ধরতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম গেল এক বছরে ২৫ শতাংশ বাড়লেও আমাদের লোকাল বাজারে চার শতাংশের বেশি বাড়েনি। সেই সাথে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সহযোগিতায় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও আমাদের বাজার স্থিতিশীল আছে। ১৬৩ টাকায় এক লিটার ও ১৪৯ টাকায় খোলা বাজারের তেল বিক্রি করতে পেরেছি। সব জিনিসের দাম কমে গেছে।
কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্য তেলের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণ সাপ্লাই চেইনে আছে। চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্যা নেই। মিল মালিকরা এ নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাজার পর্যায়ে কৃষিপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।