ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, অসদাচরণ ও আইন অমান্যের অভিযোগ এনে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পর পদ হারালেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফা।

গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে ঢাকা ওয়াসা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য সুজিত কুমার বালাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সুজিত কুমার বালা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে আছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৭ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য সুজিত কুমার বালাকে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী তিনি ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

গোলাম মোস্তফা বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে আছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত অক্টোবরেই আমার চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলাম। ওই মেয়াদ শেষে বিদায় দিলে আমার কোনো কিছু বলার থাকত না।

তিনি বলেন, যখন তাকসিমের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা শুরু করলাম, তখনই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এতে আরও স্পষ্ট হয়, তাকসিম যেভাবে ওয়াসা চালাতে চায় সেভাবেই চালাবে। বোর্ডকে সে কিছু করতে দেবে না।

গত ১৭ মে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন গোলাম মোস্তফা। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকেও। চার পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রে তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন গোলাম মোস্তফা। এর মাত্র চার দিনের মাথায় ওয়াসার চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...