নভেম্বর ৮, ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চায় না, বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে যেন তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে, শুধুমাত্র এটাই নিশ্চিত করতে চায়।

সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় এক সাংবাদিক মিলারের কাছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নীতি কার্যকরের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের একটি বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বলেন, বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশকে তালেবান-স্টাইলের ভূমিকার পক্ষে থাকা কট্টরপন্থি গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের হুমকি দিচ্ছে, এমনকি উগ্র মতবাদের সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের তালিকাও প্রচার করছে।

অন্যদিকে, নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী, যুদ্ধাপরাধ বিরোধী কর্মী, সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক, সংখ্যালঘু নেতারা গণমাধ্যমে সম্ভাব্য ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা হিসাবে দাবি করে ওই সাংবাদিক বলেন, আপনি কি রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে সমর্থন করেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ জাতিকে সমর্থনকারী এত বড় উদারপন্থি গোষ্ঠীর উদ্বেগকে সরাসরি অস্বীকার করেন?

জবাবে মিলার বলেন, আমি গত সপ্তাহে যা বলেছিলাম তা একটু ভিন্ন ভাষায় আবারও বলি। বাংলাদেশিরা নিজেরাই যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও সেটিই চায়, আর তা হচ্ছে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া সকলেই তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক, ঠিক যেমনটা আমরাও চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের নীতি ঘোষণা করেছি তা এই উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।

আমি শুধু বলবো, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতাদের নির্বাচন করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র এটাই নিশ্চিত করতে চায়।

এর আগে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ি বা জড়িত ব্যক্তিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনীতিকসহ কয়েকটি শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...