নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। আগামী নির্বাচন কমিশনে কারা কমিশনার থাকবেন সেটা সার্চ কমিটি ঠিক করবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সার্চ কমিটি করা হবে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোনো চাপ বা হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
সংলাপের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়েই বেশি কথা হয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এককভাবে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা পালিয়েছেন, তারা কীভাবে গেলেন সে বিষয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
এ সময় তিনি জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে তিন দিন কোনো সরকার ছিল না। মূলত সেই সময়ই অনেকে পালিয়েছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি এর আগেও কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। এবার রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান রাজনেতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
শনিবার চতুর্থ দফার এই সংলাপে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম ছাড়াও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বিজেপি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ অভিযোগ ওঠার পর জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়নি এই সংলাপে।