আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নাশকতা করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসায় বিরত রাখা যাবে না । বাধা বেশি হলে জনগণই তা প্রতিহত করবে। আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত- নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এই নীতিতে আমরা আপসহীন। অনির্বাচিত সরকার অস্বাভাবিক সরকার করবে- এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে দেখা গেছে, যারা আন্দোলনে হারে, নির্বাচনেও তারা অবধারিতভাবে হারবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে জাগরণের ঢেউ, মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েছে, তাতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নই। বিএনপি যতই বাধা সৃষ্টি করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী; জনগণ ভোট দিতে চায়। জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দিতে চাইলে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা করছে। অনেক অপকর্ম করে যাচ্ছে। তারা জানে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। বিএনপি ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে নির্বাচন পণ্ড করা যাবে না। তাদের খারাপ উদ্দেশ্য সার্থক হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরাও বুঝেছে নির্বাচন ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছ। প্রার্থীদের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য সংঘাত, সংঘর্ষ হচ্ছে না। বিএনপির নাশকতা পরাজিত হবে। জনগণের শক্তি বিজয়ী হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো পাল্টাপাল্টি নেই। ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করতে চাই, এখানে পাল্টাপাল্টির বিষয় নেই। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। বিএনপি স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না। আমরা সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, ইসি নির্বাচন পরিচালনা করছে। পৃথিবীর গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থার বাইরে কিছু হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এতে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি নেই।
১৪ দলের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেগুলো যুক্তিযুক্ত, নির্বাচনে জেতার যোগ্য, জোটের শরীক হলেও মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। জোটের খাতিরে শুধু শুধু মনোনয়ন দিলে গণতন্ত্রের প্রতি সুবিচার তো হলো না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে থাকায় কারও প্রার্থিতা বাতিল হলে, নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিতে যাবো না। কোনো প্রার্থী চাইলে আপিল করতে পারে, তবে এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করবে না আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।