নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- (হে আল্লাহর রাসুল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নামাজ’। (বুখারি ও মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিস বর্ণনা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার আল্লামা মোল্লা আলি ক্বারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমেই আলেমগণ ঈমানের পর নামাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা মনোনীত সর্বোত্তম আমল হলো নামাজ। অতএব যে বেশি বেশি নামাজ পড়তে সক্ষম, সে যেন বেশি বেশি নামাজ পড়ে। (তাবারানি)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের গুরুত্ব বুঝাতে হাদিসের মাধ্যমে একটি উপমা প্রদান করেছেন।

হজরত আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সময় শীতকালে বাইরে (কোথা্র) তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাথা ঝরার মওসুম ছিল। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাছের একটি ডাল হাত দিয়ে ধরলেন। ফলে তার পাতা আরও বেশি ঝরতে লাগল।

অতঃপর তিনি বললেন, হে আবু যর! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন-

‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে পাপসমূহ ঝরে পড়ে; যেমন এ গাছের পাতা ঝরে পড়ছে। (মুসনাদে আহমদ)

নামাজই একমাত্র ইবাদত; যার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সব কাজ ছেড়ে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নিবেদিত হয়ে যায়। এ নামাজই মানুষকে দুনিয়ার সব পাপ-পংকিলতা থেকে ধুয়ে মুছে পাক-সাফ করে দেয়। দুনিয়ার সব অন্যায়-অনাচার থেকে হেফাজত করে।

নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী
কুরআনে পাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রত্যক্ষভাবে ৮২বার ও পরোক্ষভাবে ৩০০ বারের ও বেশী নামাযের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। সাথে সাথে আল্লাহর হাবীব রাসুলে কারীম (ﷺ) ও হাদিসে পাকে ব্যাপকভাবে তাগিদ দিয়েছেন।
কুরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন –
١. ان الصلواة كانت على المؤمنين كتبا موقوتا ) النساء ١٠٣ )
অর্থঃ নামায মুমিনের উপর ওয়াক্ত মুতাবিক ফরজ করা হয়েছে। (সুরা নিসা – ১০৩)

٢. ان الصلواة تنهى عن الفحشاء والمنكر (سورة العنكبوت ٤٥)

অর্থঃ নিশ্চয় সালাত মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে ( সুরা আনকাবুত – ৪৫)

٣. حافظوا على الصلوات والصلواة الوسطى وقوموالله قنتين (سورة البقرة ٢٣٨)

অর্থঃ তোমরা নামাযকে হেফাজত কর বিশেষ করে মধ্যবর্তীর নামাজ তথা আছরের নামায এবং আল্লাহর জন্য একনিষ্টতার মাধ্যমে দাঁড়িয়ে যাও। ( সুরা বাকারা- ২৩৮ )

٤. فخلف من بعدهم خلف اضاعوا الصلاة واتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا الامن تاب وامن وعمل صلحا فاولئك يدخلون الجنة ولا يظلمون شيا-

অর্থঃ অতঃপর তাদের পরে এমন কতগুলো বান্দা হবে যারা নামাজকে বরবাদ করবে এবং কুপ্রবিত্তির তথা মনগড়া চলবে। অতিশ্রীঘ্রই তাদেরকে ‘গাই’ নামক জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (গাই এমন এক জাহান্নাম যার আজাব থেকে অন্য জাহান্নামীরা রেহাই চাইবে) হ্যাঁ, যারা তওবা করে ঈমান আনবে এবং পূণ্যের কাজ করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদেরকে সামান্যতম ও জুলুম করা হবে না।

٥. يوم يكشف عن ساق ويدعون الى السجود فلا يستطيعون خاشعة ابصرهم ترهقهم ذلة وقد كانوا يدعون الى السخود وهم سلمون- (سورة القلم ٤٢،٤٣)

অর্থঃ স্মরণ কর গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা, সেদিন তাদেরকে সিজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে,এবং নিশ্চয় তাদেরকে দুনিয়ায় সিজদা করতে আহবান করা হতো , তারা যখন সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল ।( সুরা আল কলম -৪২,৪৩)

অর্থাৎ দুনিয়াতে সুস্থ থাকা সত্বেও যারা নামাজ আদায় করেনি, তাদেরকে কিয়ামতের দিন সিজদা দেওয়ার জন্য আহবান করা হলে ও তারা সেদিন সিজদা দিতে সক্ষম হবে না।

٦. وامر اهلك بالصلوة واصطبر عليها- (سورة طه١٣٢)

অর্থঃ এবং আপন পরিবারবর্গকে নামাজের আদেশ দাও এবং নিজেও সেটার উপর অবিচল থাকো।( সুরা ত্বোয়া – হা -১৩২) ।

ফজরের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: ফজরের নামাজ সর্বপ্রথম হযরত আদম (আঃ) আদায় করেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় রাতের অন্ধকারে অবতরন করান। জান্নাত নুরের তৈরী সেখানে নুর আর নুর অন্ধকার বলতে কিছুই নেই। দুনিয়ার অন্ধকার দেখে উনি ভয় পেয়ে গেলেন। আর যখন সকাল হল চারপাশে আলো ছড়িয়ে যায়, উনি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন। দুই অন্ধকার ( একটা দুনিয়ার একটা রাতের) চলে যাওয়ার কারণে দুই রাকায়াত নামাজ পড়লেন। উম্মতে মুহাম্মদী(ﷺ)যারা এই দুই রাকায়াত ফজরের নামাজ পড়বে আল্লাহ তাদের গুনাহের অন্ধকার দূরভীত করে আনুগত্যের নুর দান করবে।

যোহরের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: যোহরের নামাজ সর্বপ্রথম আদায় করেন আল্লাহর খলিল হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যখন আল্লাহ তায়ালা উনাকে চারটি নেয়ামত দান করলেন । তাহলো ১) নিজ সন্তানের কুরবানী থেকে মুক্তি ২) জান্নাত থেকে ফিদিয়া বা দুম্বা নাজিল করা ৩) আল্লাহ তায়ালা তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়া ৪) উনার ছেলে তলোয়ারের নিচে মাথাকে সোপর্দ করার মাধ্যমে উনার আনুগত্য স্বীকার করা।
উম্মতে মুহাম্মদী(ﷺ)যারা এই চার রাকায়াত যোহরের নামাজ পড়বে আল্লাহ তাদেরকেও চারটি নেয়ামত দান করবেন। তা হল ১) নফস শয়তানকে হত্যা করার তৌফিক দান করবেন ২) পেরেশানী থেকে রেহাই দান করবেন ৩) ইহুদী ও নাসারাদেরকে জাহান্নামে দিয়ে তাদেরকে মুক্তি দান করবেন ৪) তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালক রাজী হয়ে যাবেন।
আছরের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: সর্বপ্রথম আছরের নামাজ আদায় করেন হযরত ইউনুচ (আঃ) যখন আল্লাহ তায়ালা চারটি অন্ধকার থেকে মুক্তি দান করেন। ১) তার পক্ষ থেকে রাগান্নিত হওয়া জাতির অন্ধকার ২) রাতের অন্ধকার ৩) সমুদ্রের অন্ধকার ৪) মাছের পেটের অন্ধকার ।
উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) যারা এই চার রাকায়াত নামাজ আদায় করবে তাদেরকে রাব্বুল আলামীন চারটি অন্ধকার থেকে মুক্তি দান করবেন। ১) কবরের অন্ধকার ২) গুনাহের অন্ধকার ৩) কিয়ামতের অন্ধকার ৪) জাহান্নামের অন্ধকার।
মাগরীবের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: মাগরীবের নামাজ সর্বপ্রথম আদায় করেন হযরত ঈসা (আঃ) যখন তাকে ও তার আম্মাকে খোদা বলা থেকে মানুষ বিরত থাকে এবং এক আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করে। উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) যারা এই তিন রাকায়াত নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তিনটি নিয়ামত দান করবেন।
১) কিয়ামতের ময়দানে হিসাব সহজ হয়ে যাবে,যে দিন দুনিয়ার দিনের পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান হবে। ২) জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবে ৩) কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে।
ইশার নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: ইশার নামাজ সর্বপ্রথম আদায় করেন আল্লাহ তায়ালার কলিম হযরত মুছা (আঃ)। যখন আল্লাহ তাকে চারটি পেরেশানী থেকে মুক্তি দান করেন । ১)মাদায়ন শহর থেকে আসার পথে রাস্তা হারিয়ে ফেলার পেরেশানী ২) তার ছাগল হারিয়ে যাওয়ার পেরেশানী ৩) ভ্রমণের পেরেশানী ৪) তার স্ত্রী হারিয়ে যাওয়ার পেরেশানী।
রাতের অন্ধকারে যখন পাহাড়ে গেলেন উপরোক্ত পেরেশানী দূর হয়ে যায় এবং উনি আল্লাহর দীদার পান। উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) যারা এই চার রাকায়াত নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে চারটি নিয়ামত দান করবেন । ১) সিরাতে মুস্তাকিমে অঠল রাখবেন।২) যে কোন সমস্যার সমাধান করে দেবেন ৩) মাহবুবে হাকীকী তথা বাস্তব বন্ধুর সাথে সাক্ষাত দেবেন ৪) শত্রু থেকে মুক্তি দান করবেন । ( ফতোয়ায়ে রজভীয়া ২য় খন্ড ১৬৬ পৃষ্ঠা)

হযরত জাফর বিন মুহাম্মদ (রঃ) তার পিতা থেকে , তিনি তার দাদা থেকে , তিনি হযরত আলী বিন আবু তালেব (রঃ) থেকে, তিনি রাসুল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, নামাজ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির মাধ্যম , ফেরেশতাদের প্রিয় , নবীদের সুন্নাত, মারফতের নুর , ঈমানের মূল , দোয়া কবুলের মাধ্যম , আমল কবুল হওয়ার মাধ্যম, রিযিকের মধ্যে বরকত হওয়ার মাধ্যম , শত্রুদের বিরূদ্ধে অস্ত্র সরূপ, শয়তানের অপছন্দনীয় কাজ, মালাকুল মওতের কাছে সুপারিশ কারী, ক্বলবের আলো, আদায়কারীর কবরে বিছানা সরূপ, মুনকির নকিরের উত্তরের মাধ্যম , কিয়ামত পর্যন্ত প্রিয় বন্ধু সরূপ থাকবে।
আর যখন কিয়ামত কায়েম হবে তার মাথার উপর ছায়া ও তাজ হবে, শরীরের পোশাক সরূপ হবে , সামনে নুর হয়ে থাকবে , আদায়কারী ও জাহান্নামের মধ্যখানে পর্দা সরূপ দাঁড়াবে, আল্লাহ তায়ালার কাছে মুমিনদের পক্ষে দলিল সরূপ হবে, দাড়ি পাল্লায় ভারী হবে, পুলসিরাত পারাপারের মাধ্যমে ও জান্নাতে প্রবেশের চাবি হবে, কেননা নামাজ হলো তাহমিদ, তাসবীহ, তাকদিছ, তাজিম, ক্বেরাত, দোয়া ও তামজিদের সমষ্টি। তাই রাসুল (ﷺ) বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো সময়মতো নামাজ আদায় করা (নুযহাতুল মাজালিস ১ম খন্ড, ১০২ পৃষ্ঠা)

রাসুলে করিম (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমাদের মধ্যে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেখানে সুযোগ হয় আদায় করে নেয় এই নামাজ কিয়ামতের ময়দানের পুলসিরাত পার হওয়ার মাধ্যম এবং প্রথম সারির বান্দাদের সাথে বিজলীর মতো দ্রুত পার হয়ে যাবে। কিয়ামতের ময়দানে যখন উঠবে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় তার চেহারাটা উজ্জল থাকবে। এবং যে ব্যক্তি প্রত্যেহ নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদের সাওয়াব দান করবেন।(রুহুল বয়ান ৬ষ্ঠ খন্ড ৩৮ পৃষ্ঠা)

اذا كان يوم القيامة امر بطبقات المصلين الى الجنة فتأتى اول زمرة كالشمس فتقول الملائكة من انتم قالوا نحج المحا فظون على الصلوة قالوا كيف كانت محا فظتكم على الصلوة ؟ قالوا كنا نسمع الاذان ونحن فى المسجد –

ثم تأ تى زمرة اجرى كالقمر ليلة البدر فتقول الملائكة من انتم قالوا نحن المحافظون على الصلوة قالوا كنا نتوضأ قبل الوقت ثم نحضرمع سماع الاذان –

ثم تأ تى زمرة اجرى كالكو اكب فتقول الملائكة من انتم قالوا نحن المخافظون على الصلوة قالوا كيف كانت محافظتكم على الصلوة قالوا كنا نتوضأ بعد الاذان -( نزهة المجالس)

অর্থঃ রাসুলে করিম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন কিয়ামত কায়েম হবে রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে আদেশ হবে মুসল্লিদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে, তাদের বিভিন্ন মর্যাদা প্রকাশ করে, এক দল দেখা যাবে সূর্যের ন্যায় আলোকিত , ফেরেশতা জিজ্ঞেস করবে তোমরা কারা? তারা বলবে আমরা নামাজকে হিফাজত করেছিলাম ।
ফেরেশতারা বলবে তোমাদের হিফাজত টা কি রকম ছিল? তারা বলবে আমরা আজান শুনতাম মসজিদে বসে ।আরেক দলকে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের চেহেরা হবে চৌদ্দ তারিখের উজ্জল চাঁদের মতো, ফেরেশতারা বলবে তোমরা কারা ? তারা বলবে আমরা নামাজকে হিফাজত করতাম, ফেরেশতারা বলবে কিভাবে ?
তারা বলবে আমরা অযু করতাম নামাজের সময় আসার আগে আর মসজিদে হাজির হতাম আজান শুনে শুনে।আরেক দলকে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের চেহেরা হবে নক্ষত্রের মতো উজ্জল, ফেরেশতারা বলবে তোমরা কারা ? তারা বলবে আমরা নামাজকে হিফাজত করতাম, ফেরেশতারা বলবে কিভাবে ? তারা বলবে আমরা অযু করতাম নামাজের জন্য আজান শুনার পরে।( নুযহাতুল মাজালিস)
ذكر السمر قندى ان ابليس صاح عند نزول الصلوة فا جتمع اليه جنوده فا خبرهم بذالك فقالوا ما الحيلة؟ قال اشغلوهم عن مواقيتها فان الرحمة تنزل اول وقتها قالوا فان لم نستطع قال اذا دخل احدهم فى الصلوة فاليقم حوله اربعة منكم واحد عن يمينه فيقول انظر الى يمينك وواحد عن شماله فيقول انظر الى شمالك واخر فوقه فيقول انظر فوقك واخر تحته فيقول انظر تحتك عجل عجل فان لم يفعل كتبت له هذه الصورة اربعماة صلوة ( نزهة المجالس)
অর্থঃ হযরত আবুল লাইস সমর কান্দি (রঃ) উল্লেখ করেছেন, নামাজের সময় যখন হয় ইবলিস চিৎকার করে, অতঃপর তার সৈন্যরা একত্রিত হয়ে যায় তাদেরকে চিৎকারের কারণ বলে , তখন তারা বলে এখন উপায় কি ? ইবলিস বলে তোরা উম্মতে মুহাম্মদীকে নামাজ থেকে বিরত রাখ,যাতে তারা সময় মোতাবিক নামাজ পড়তে না পারে ।
কারণ ওয়াক্ত আসার সাথে সাথে আল্লাহর রহমত ও নাজিল হয়, তার সৈন্যরা বলে আমরা যদি বিরত রাখতে সক্ষম না হয়? ইবলিস বলে তারা যদি নামাজে প্রবেশ করে তোমরা চারজন চারপাশে দাঁড়াবে একজন ডানপাশে সে বলবে (মুসল্লিকে) ডান দিকে দেখ, আর একজন বাম দিকে সে বলবে বাম দিকে দেখ, অন্যজন উপরে,সে বলবে উপরে দেখ , অন্য জন নিচে দাঁড়াবে সে বলবে নিচে দেখ, আর মুসল্লি যদি তোমাদের কথা না শুনে , তার নামাজ একনিষ্ঠতার সাথে আদায় করে, এ নামাজে চারশত নামাজের সাওয়াব দেওয়া হবে, তোমরা তাড়াতাড়ি যাও , এভাবে আদেশ করে ইবলিস তার সৈন্যদেরকে।( নুযহাতুল মাজালিস )

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...