

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও মেঘনা উপজেলায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল বুধবার (৮ মে)। অবশ্য জেলার বাকি তিনটি উপজেলার নির্বাচন নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয় চূড়ান্ত হলেও নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সবগুলো পদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৬ মে) ইসি সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ মে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম তার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ করার জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট তার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ ঘোষণা করে ২৫ এপ্রিল তাকে প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেন। মহামান্য হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ইসি। আপিলে তার মনোনয়ন পত্রটির বিষয়ে সোমবার (৬ মে) নো অর্ডার প্রদান করেন আপিল বিভাগ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের নিমিত্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনির হোসাইন খান বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম একজন ইউপি সদস্য। তিনি তার পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বপদে বহাল থেকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। ফলে যাচাই-বাছাইয়ের দিন গত ১৫ এপ্রিল তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী কোনও জনপ্রতিনিধিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে অবশ্যই পদ থেকে পদত্যাগ করে তারপর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু পদত্যাগ না করেই মনোনয়নপত্র দাখিল করায় তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী সময়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিনক্ষণ নতুন করে ঠিক করা হবে। প্রথম ধাপে কুমিল্লার বাকি তিনটি উপজেলার নির্বাচন যথাসময়ে আগামী ৮মে অনুষ্ঠিত হবে।