তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি বাস্তবায়নে ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) এর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সংগঠনটি উল্লেখ করেছে, শ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। তাই নতুন মজুরি বাস্তবায়নের স্বার্থে ক্রেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
গত ৮ নভেম্বর এএএফএর সভাপতি স্টিভেন ল্যামারের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়েছে। ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। খবর বাসস।
চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, দেশের পোশাক মালিকেরা নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করবেন। সে জন্য ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য জাহাজিকরণ করা হবে, নতুন মজুরির আলোকে তার মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন। এছাড়া এখন থেকে যত ব্যবসায়িক চুক্তি করা হবে, তা এই নতুন ন্যূনতম মজুরির সাপেক্ষে করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
চিঠিতে জানানো হয়, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বা ১১৩ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলার। শ্রমিকদের মোট মজুরি বেড়েছে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এবার শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট মজুরির ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। ফলে শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।
বিষয়টি সম্পর্কে বিজিএমইএ অবশ্য আগেই এএএফএকে অবহিত করেছিল। গত সেপ্টেম্বরে এক চিঠিতে বিজিএমইএ ডিসেম্বর থেকে যেসব পোশাক উৎপাদিত হবে, ক্রয়াদেশের বিপরীতে সেগুলোর দাম যৌক্তিকভাবে বাড়াতে মার্কিন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল।
বিজিএমইএর ৮ নভেম্বরের ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পোশাক খাতে একটি টেকসই শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে এই খাতে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়। এখন বাংলাদেশ বৈশ্বিক পর্যায়ে একটি নির্ভরযোগ্য পোশাক সোর্সিং দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।