চেইন অব কমান্ড বজায় রেখে পুলিশের প্রতিটি সদস্য যাতে উন্নত মনোবল ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেই সঙ্গে যেকোনো অরাজক পরিস্থিতি ও লুটতরাজ বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান। আজ বুধবার (৭ আগস্ট) পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপ্রধান এ নির্দেশনা দেন।
পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শককে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পুলিশকেই এ কাজটি করতে হবে। এ সময় যেকোনো অরাজক পরিস্থিতি ও লুটতরাজ বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আদিল চৌধুরী ও প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার (৬ আগস্ট) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তি বাতিল করে নতুন আইজিপি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে আইজিপি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় চৌধুরী আব্দুল্লাহ মামুনকে। অন্যদিকে, সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাইনুল হাসানকে ডিএমপি কমিশনার (চলতি দায়িত্ব), র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে, ডিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।