সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হলো বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (বেকুটিয়া সেতু)। উদ্বোধনের পর থেকে এটি যেমন দর্শনীয় স্থান তেমনি যোগাযোগ ও পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

দেশের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা আর স্থলবন্দর বেনাপোল দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। এসব কিছুর সেতুবন্ধন বঙ্গমাতা সেতু। ফলে এ সকল রুটে যাতায়াতকারী যানবাহন এই সেতু দিয়ে অতিক্রম করে। গত প্রায় এক বছরে এ সেতু দিয়ে মোট ৩ লাখ ৭ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এসব যানবাহন থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।

যশোর থেকে ট্রাকযোগে মালামাল নিয়ে আসা চালক মিজানুর রহমান বলেন, এই পথে দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর ধরে মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া করি। আগে এখান থেকে যাওয়ার সময় ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হত। কিন্তু বঙ্গমাতা সেতু হওয়ার পর মাত্র ৪ থেকে ৫ মিনিটেই অতিক্রম করতে পারি।

সেতু এলাকার বাসিন্দা আজমীর হোসেন মাঝি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হওয়ার পর আমাদের এই এলাকার জায়গা-জমির দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি কলকারখানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেতুর কারণে এখানকার জীবনমান অনেক পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।

জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকিব বলেন, সেতুর কারণে এখন খরচের পরিমাণ কমে গেছে। মালামালের ট্রাক ফেরিঘাটে আগে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সময় অপচয় হত। এখন আর সময় অপচয় হয় না।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ার এলাকায় গড়ে উঠছে নতুন শিল্প-কারখানা। যানবাহন বাড়ার সঙ্গে রাজস্বও বেড়েছে কয়েকগুণ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বো

ধন করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *