নভেম্বর ২৬, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। মাত্র ১৫ বছরে আমরা এই যে উন্নতি করতে পারলাম, পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আজ রোববার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিচ্ছি এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিচ্ছি। ২০১০ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম, যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, এটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

রফতানি পণ্য বহুমুখি করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনকার কূটনীতি হবে বাণিজ্যিক। অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন দেশে কোন পণ্য রফতানি করা যায়, সেগুলোর বাজার খুঁজে বের করতে হবে ব্যবসায়ীদেরই।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশে রফতানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেরও বাজারজাত করতে হবে।

২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত লুটপাট জুলুম হামলা মামলা চলেছে এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। সরকারে প্রচেষ্টায় এরইমধ্যে ৫৮ জেলা ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য রফতানি বাড়ানোর কথা জানিয়ে-তিনি বলেন, চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের মাটি, সোনার মাটি। এ মাটি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জন্য উৎপাদন করে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্য পণ্য, গার্মেন্ট, ডিজিটাল ডিভাইসের মতো নতুন নতুন চাহিদা সম্পন্ন পণ্য রফতানির উদ্যোগ নিতে হবে। 

আজ পণ্য রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। এরপর ২৯ বছর এদেশের মানুষের জীবনে কোনো উন্নতি হয়নি, পরিবর্তন ছিল না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...