বর্তমানে দেশে ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৭ নিবন্ধিত মোটরযান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পৌনে ৫টায় অধিবেশন শুরু হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর সংখ্যা ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৩। দেশে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালকের সংখ্যা ২৪ লাখ, তথ্যটি বস্তুনিষ্ট নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৭ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স (মোটরযানের শ্রেণি অনুযায়ী) ইস্যুর সংখ্যা ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৩।
তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে দক্ষ ও মানবিক গুণসম্পন্ন গাড়িচালক তৈরির লক্ষ্যে বিআরটিএ কর্তৃক পেশাজীবী গাড়িচালকদের নিয়মিতভাবে রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পেশাজীবী গাড়িচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নকালে ড্রাইভার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।
কাদের বলেন, ২০০৮ সাল থেকে জুলাই/২০২৩ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৮ লাখ ১৫ হাজার ১৪২ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ অর্থবছরে জুলাই/২০২৩ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৬ হাজার ১৯৬ জন গাড়িচালককে রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রাম (এসইআইপি)’ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ অভিজ্ঞ পেশাদার ড্রাইভার তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬০ হাজার যুবক-যুব মহিলাদের হালকা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন দক্ষ চালক তৈরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।