জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান ‘ছাগলকাণ্ডের’ ঘটনায় এবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। গতকাল রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বসুন্ধরা, ধানমন্ডিসহ মতিউরের বিভিন্ন বাসভবনে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি তার। এমনকি কোরবানির ঈদের ছুটির পর অফিস খুললেও তিনি আর এনবিআর কার্যালয়ে আসেননি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর চলে গেছেন। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে।
একইদিন কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া তিনি হারিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদও।
সূত্র জানায়, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারতে চলে গেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এরপর মতিউর রহমান ভারত থেকে সরাসরি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে পারেন। প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করেছে।
এদিকে,, ঈদের পরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়া চলে গেছেন ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাত, তার বোন ইফতিমা রহমান মাধবী ও তার মা শাম্মী আকতার। ইফাত মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান।
অপরদিকে, মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তার ছেলে দেশে আছেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, লায়লা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। এই পদে গত ২৯ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে সংঘর্ষের কারণে ভোট হয়নি। লায়লা উপজেলা নির্বাচনে এবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী।
উল্লেখ্য, সব হারানোর পেছনে রয়েছে ‘ছাগলকাণ্ড’। ইফাতের ছাগল কেনার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারপর সারাদেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু রয়েছে ‘ছাগলকাণ্ড’। শুধু তাই নয়, বেরিয়ে আসে এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের অঢেল সম্পদের চিত্র।