দুর্নীতিবাজ কারও জন্য কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষিবিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতিকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতিবাজের জন্য কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। কৃষকরা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগী ও অসাধু শ্রেণির জন্য কৃষক দাম পায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আন্দোলন।
তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়াতে গুণগত বীজ সরবরাহ করতে হবে। যে বীজ কৃষকের কাছে যায়, সেগুলো যেন গুণগতভাবে মানসম্পন্ন হয়। বীজের মান ভালো না হলে ফসল ভালো হবে না।
সার প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সারের কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু কৃষকের কাছে সারটা যেন সময়মতো পৌঁছে এটা নিশ্চিত করতে হবে, সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে।
উৎপাদন বাড়াতে বীজ ও সারের পাশাপাশি কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে কৃষকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।
এরপর কৃষিখাত নিয়ে দপ্তর প্রধানদের কাজের প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে যদি কোন বিপ্লব করে থাকে, কৃষি মন্ত্রণালয় করেছে। সাড়ে সাত কোটি লোকের খাদ্য যে জমি দিয়ে উৎপাদন হতো, সে জমির পরিমাণ কমে গেলেও সাড়ে সতেরো কোটি লোকের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এ কৃতিত্ব কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার।
এসময় তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে কৃষকদের সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।