সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানির করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর কাছে আগস্ট মাসের চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম কত হওয়া উচিত সেটি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যদি ডিম আমদানির অনুমতি চায় সে ক্ষেত্রে আমরা ডিম আমদানির অনুমতি দেব।

এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে আগস্ট মাসের চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল, ৬০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল ও ১০০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এ বিক্রয় কার্যক্রম শুধু মহানগরীগুলোতে এবং আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে পরিচালনা করা হবে।

২০২২ সালে এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম উঠেছিল ১৫৫ টাকা। তবে বর্ষা শেষে তা আবার কমে যায়। গত মাস পর্যন্ত ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয় ডিম। এর পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। তবে এ দফায় চিনি পাওয়া যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান। জুলাই থেকে এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিপ্তরের ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) চাল ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। শোকাবহ আগস্ট-২৩ মাসের বিক্রয় কার্যক্রম রোববার থেকে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে শুরু হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *