বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন উইন্ডোজ খোলা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ইক্যুইটিতে, বন্ডে (ডেবট) এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভগুলিতে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা আমাদের নতুন পণ্য হিসেবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার খনি এবং অন্যান্য পণ্য আগামী বছরগুলিতে ব্যবসা করা যেতে পারবে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ শীর্ষক রোড শোতে সভাপতির ব্যক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য আমাদের পুঁজিবাজারে ভালো মানের স্টক রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে ভালো কোম্পানি হিসেবে তারা ভালো রিটার্ন দেয়। তাই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে ভালো মৌলিক কোম্পানি এবং ব্লু চিপসে বিনিয়োগ করা আপনার জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে।
তিনি বলেন, কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় পুঁজিবাজারের অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পুঁজিবাজারের অস্থিরতা সবচেয়ে কম। আমাদের বাজার মূলধন গত ১২ বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটি আমাদের পুঁজিবাজারে গত ১২ বছরের মধ্যে বড় অর্জন। তাই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ব্লুমবার্গ এবং এইচএসবিসি ব্যাংকসহ সবাই বলছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে।
রোড শোটি সঞ্চালনা করেন এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের (এলআর গ্লোবাল)ব্যস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও রিয়াজ ইসলাম। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নূর ই হেলাল সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়াসহ বিএসইসি’র প্রতিনিধিরা উপস্থি ছিলেন।