ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তি বাড়াতে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এই মহাসড়কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া নিয়ে আপত্তি নেই ভারত-থাইল্যান্ডের।তবে মিয়ানমার বিষয়টি কীভাবে নেয় সেটি দেখার বিষয়।

.মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের তৃতীয় সভা ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব বলেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ছিল।

আমরা আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আমরা ত্রিপক্ষীয় সড়কে যুক্ত হতে চাই। আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি, থাইল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি আমরা যুক্ত হতে চাই তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কথা হলো, এটাতে মিয়ানমার কীভাবে রিয়েক্ট করতে পারে।

বৈঠকে বিমান ও মেরিটাইম কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়া ছাড়াও বিমান যোগাযোগ এবং মেরিটাইম যোগাযোগের বিষয়টি ছিল। বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংক সপ্তাহে ৩৫টি ফ্লাইট চরাচল করছে। আগামীতে চাহিদা বাড়লে আরও বেশি ফ্লাইট চালু করা হবে।

বিমান যোগাযোগ আরও বাড়াতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি সম্পন্ন করা গেলে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আরও সম্ভবনা তৈরি হবে।

এফওসিতে থাইল্যান্ডের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুওয়ান নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি। বাংলাদেশ আমাদের ভালো বন্ধু। সামনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। অনেক খাতেই আমাদের একসঙ্গে কাজ করার মতো সম্ভবনা রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা একে অপরকে সমর্থন দিতে পারি।

সারুন চারোয়েনসুওয়ান বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল এখানে কীভাবে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, ট্রেড বাড়ানো যায়; সেটি নিয়ে আলোচনা করছে। আমরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলো প্রতিনিয়ত করে যেতে চাই।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...