তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। রবিবার (০৯ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হয় তার শপথ অনুষ্ঠান। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া প্রতিবেশী এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ছয় দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান যোগ দেন শপথ অনুষ্ঠানে। এর মধ্যে রয়েছেন সেশেলসের উপরাষ্ট্রপতি আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জগন্নাথ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও।
রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের প্রায় ৮ হাজার বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন বিদেশি অতিথিরা। শপথ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছাকাছি বিশাল তল্লাটকে ‘নো ফ্লাই জোন’য়ের আওতায় আনা হয়েছে। বিমান তো দূরের কথা, ফানুস বা ড্রোনও ওই এলাকায় ওড়ানো বা চালানো যাবে না।
এদিন শপথ পাঠের আগেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন মোদি, যাদের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পায়নি দলটি। তাই জোটের শরিকদের ওপরই ভরসা করতে সরকার গঠন করতে হচ্ছে বিজেপিকে।
লোকসভা নির্বাচনে মোট আসন ৫৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইনডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। তাই মোদির এবারের মন্ত্রিসভায় মিত্রদের জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
জহরলাল নেহরু ছাড়া ভারতের আর কোনো প্রধানমন্ত্রীর টানা তিন বার শপথ নেওয়ার কৃতিত্ব নেই।