হলমার্কে চেয়ারম্যান জেসমিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভিরের বন্ধকি ৩৮ একর জমিসহ এই দম্পতির সব সম্পত্তি সোনালী ব্যাংকের মালিকানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এসব সম্পতি নিলাম করে লুট হওয়া টাকার অনেকটাই উদ্ধার সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
২০১১ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণের নামে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করে হলমার্ক গ্রুপ। সে সময় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ পেলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তদন্তে নামে দুদক, দায়ের করা হয় এগারটি মামলা।
আলোচিত এই ঘটনার এক মামলার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদলত-১ হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির মাহমুদ, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। দুদকের আইনজীবী বলছেন, হলমার্কের বাকি মামলাগুলোর রায়ও এ বছরের মধ্যেই হবে।
দুদক পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, “মূল হলমার্ক গ্রুপের মামলা আছে ১১টি। এই ১১ মামলা একটি কোর্টেই আছে। যে কোর্টে একটি মামলার রায় হয়েছে সেই কোর্টে বাকি ১০টি আছে। সবই চলমান, কোনোটি অর্ধেক পর্যায়ে আবার কোনোটি ৭০ শতাংশ এই পর্যায়ে চলে এসেছে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই প্রায় সবগুলোর রায়ই পেয়ে যাব।”
এদিকে, এখনও পর্যন্ত হলমার্কের বন্ধক রাখা সাভারের হেমায়েতপুরের ৩৮ একর জমির মালিকানার সনদ দেয়া হয়েছে সোনালী ব্যাংককে। তানভির-জেসমিন দম্পতির নামে থাকা বাকি সব সম্পদও ক্রোক করেছে আদালত।
সোনালী ব্যাংক পিএলসি প্যানেল আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এগুলো বেনামি সম্পত্তি নয়, আসলে এগুলো হলমার্ক এমডি তানভির মাহমুদ এবং তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামের নামে এই সম্পত্তিগুলো কেনা। এগুলোর মধ্যে ৩৮ একর জমি আদালতের মাধ্যমে সার্টিফিকেট নিয়েছি। বাকি সম্পত্তিগুলো আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের সে সময়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীরসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাজা দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী। সূত্র একুশে টিভি