ঢামেকে ঢুকে আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে হেলমেট পড়ে তারা এই হামলা চালায়। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা, রড ও চাইনিজ কুড়াল দেখা যায়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ এই হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
এছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করে তারা।
পরবর্তীতে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের জরুরি বিভাগে ঢুকতে বাধা দেয়। এসময় তারা বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপরে চড়াও হয়। এখনও পুরো হাসপাতাল এরিয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শাহবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসাইন বলেন, এখানে সবাই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যারা আছেন তাদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর অতর্কিতে হামলার ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিক এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের উপস্থিতির আগেই হামলাকারীরা ঢামেক ত্যাগ করেছে।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ছাত্রলীগ। সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে যান। তাদের ওপর ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী হামলা করতে গেলে আনসার সদস্যরা তাদের বাইরে চলে যেতে অনুরোধ করেন। পরে জরুরি বিভাগের সামনের সড়কে প্রায় আধঘণ্টা ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।