ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪

বেসরকারি খাতের ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এবার ঐ ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ধারার ৩টি ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া প্রচলিত ধারার রয়েছে ৭টি ব্যাংক।

তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক অর্থসূচককে বলেন, ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে জরিমানা করার বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। তাই এবিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে এসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডলার কারসাজির তথ্য পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে একই মাসে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়। কারসাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দেশি-বিদেশি ও রাষ্ট্রায়ত্ত এই ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলো আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ডলারের দর বেশি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠে ঐ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে। এরপরই তা রোধ করতে শক্ত অবস্থানে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের কঠোর নির্দেশ পেয়ে কর্মকর্তারা তদন্তে নেমেছিলেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের কাছে রাখতে পারবে তার একটি সীমা (এনওপি) রয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসের আগে ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল। তবে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এর পরিমাণ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। এর বেশি ডলার থাকলে তা বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংকের কাছে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...