ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাতটি মূল ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যই ছিল এ নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারক।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে ভোট গণনার ৬ ঘণ্টা পার হতেই দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া এবং নর্থ ক্যারোলিনা জিতেছেন। বাকি ৪টি অঙ্গরাজ্য– অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন এবং নেভাদা-তেও একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

যদিও প্রথমদিকে পেনসিলভানিয়া এবং মিশিগানে এগিয়ে ছিলেন হ্যারিস। তবে পরে ট্রাম্প তাকে ছাড়িয়ে যান এবং ব্যবধান বৃদ্ধি করেন।

পেনসিলভানিয়াতেই মূলত সর্বাধিক ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট (১৯)। এই অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানে জিতে সবকটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ট্রাম্প। যার ফলে ২৮০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে তিনি এখন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে উইসকনসিন, নেভাদা এবং মিশিগানে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন ট্রাম্প। এছাড়া অ্যারিজোনাতেও তার সামান্য ব্যবধানে লিড রয়েছে।

যদি ট্রাম্প এই সাতটি সুইং রাজ্যেই জিতে যান, তবে এটি একটি বিশাল অঘটন হবে। কারণ আগের নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা এই সাতটির মধ্যে ছয়টি রাজ্যে জিতেছিল।

এবারের নির্বাচনের এই ফলাফল রিপাবলিকানদের জন্য একটি পরিষ্কার ম্যান্ডেট এবং ডেমোক্রেটদের সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখা হবে।

ব্যালটগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের গুরুত্ব

সুইং স্টেটগুলোতে প্রায় সমানভাবে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের সমর্থন রয়েছে। তাই এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে বিজয়ী হওয়াটা গোটা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এবারের মার্কিন নির্বাচনে প্রধান সুইং স্টেটগুলো হলো- পেনসিলভানিয়া (১৯ ইলেক্টোরাল ভোট), মিশিগান (১০), জর্জিয়া (১৬), উইসকনসিন (১০), নর্থ ক্যারোলিনা (১৬), নেভাদা (৬) এবং অ্যারিজোনা (১১)।

বর্তমানে ট্রাম্প ২৮০ ইলেক্টোরাল কলেজ আসনে এগিয়ে থেকে প্রেসিডেন্ট পদে জয়লাভ করেছেন। যেখানে তার দরকার ছিল ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস হেরে গেছেন ২২৪ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিয়ে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...